আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন? অনেকে বলে আপেলে বেশি ভিটামিন আবার অনেকে বলে টমেটোতে বেশি ভিটামিন।আসলে আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি তা এই আর্টিকেল পড়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো তাই পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন।
কারন আজ আমরা আপেল না টমেটো কোন ফলে বেশি ভিটামিন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে বলে রাখা ভালো আপেল এবং টমেটো দুটি ভিন্ন প্রজাতির ফল। তাই আপেল ও টমেটোতে সম পরিমাণ ভিটামিন থাকবে না কারণ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছে একটা জিনিসে একেক টি উপাদান বেশি দিয়ে।
পোস্ট সূচিপত্র : আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
- আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
- আপেলের পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা
- টমেটোর পুষ্টি গুন ও উপকারিতা
- প্রতি ১০০গ্রাম আপেলে কি কি ভিটামিন থাকে
- প্রতি ১০০গ্রাম টমেটোতে কি কি পরিমান ভিটামিন
- কাদের জন্য আপেল ও টমেটো খাওয়া ক্ষতিকর
- সবুজ না লাল কোন আপেলে বেশি ভিটামিন
- কাঁচা না রান্না করা টমেটো খেলে বেশি উপকার
- শেষ কথা: আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি তা নিয়ে আগ্রহ আমাদের সকালের। কারণ আপেলে বেশি ভিটামিন না টমেটোতে তা নিয়ে তর্ক চলতে থাকে।টমেটো দামে সস্তা অন্যদিকে প্রতি কেজি টমেটোর ২-৩ গুণ অফ টাইমে এবং সিজিনালে ১০-১২ গুণ টাকা বেশি লাগে প্রতি কেজি আপেল। তাছাড়া সম্মানের দিক থেকে টমেটোর চেয়ে আপেল অনেক এগিয়ে। আপনি একজনের বাড়িতে বেড়াতে যাবেন কিংবা রোগী দেখতে যাবেন অনাশে আপেল নিয়ে যেতে পারবেন কিন্তু টমেটো কখনো নিয়ে যেতে পারবেন না।
আরো পড়ুন ঃ তেলাকুচার ঔষুধি গুনাগুন
তাই এই ধারণা ক্লিয়ার করতে আমরা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেখব তাই আটিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন এবং জানুন আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি। আপেলে ভিটামিন সি ও ই থাকে। তাছাড়া ফাইবার ও আন্টি অক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। অন্যদিকে টমেটোতে থাকে ভিটামিন সি ও কে, খনিজ পদার্থ, এন্টি অক্সিডেন্ট।
আপেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি তা জানতে হলে আমাদের আগে আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপেল ও টমেটোর পুষ্টিগণ না জানা থাকলে তুলনা করা যাবে না। আপেলের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আপেলে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, খাদ্য আশঁ রয়েছে। এসব ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে তা নিচে বর্ণনা করা হলো :
হজম শক্তি বাড়ায় :
আপেলে ফাইবার থাকায় এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: আপেলে ক্যালরি কম ও ফাইবার বেশি থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা নিয়মিত ডায়েটে আপেল খেতে পারেন।
হৃদ রোগের সমস্যা দূর করে : আপেল খারাপ কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আপেলে থাকা পানি প্রচন্ড গরমে হৃদ রোগীর স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমায় ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে : আপেলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্টের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের ক্ষতিকর কোষগুলো ধ্বংস করে। আপেলে থাকা আঁশ ক্যান্সার রোগের কোষ ধ্বংস করে থাকে।
ডায়াবেটিকস কমাতে : আপেল রক্তের শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তাই আপেল খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে। নিয়মিত সপ্তাহে দুই তিনটা আপেল খেলে ক্যান্সার শতকরা ৪০% কমে যায় বিভিন্ন পুষ্টিবিদের গবেষণায় উঠে এসেছে।
দাঁত ভালো রাখতে :
দাঁতের সমস্যা দূর করতে আমাদের সপ্তাহে দুই তিনটা আপেল খাওয়া উচিত। আপেল খেলে মুখের মধ্যে যে লালা হয় তা দাঁতে আটকে থাকা খাদ্য কণা দূর ক্ষণে সাহায্য করে এবং দাঁত পরিষ্কার করেও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
ত্বক ভালো রাখতে : আপেলে থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রিরেডিকেল কমিয়ে ত্বকে উজ্জ্বল ঝকঝকে করে। ত্বকে মশ্চারাইজেশন ফিরে আসি।
টমেটোর পুষ্টিগুনো ও উপকারিতা
টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়। টমেটোকে সবাই শীতকালীন সবজি হিসেবে জানে। টমেটোতে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন এ সামান্য পরিমাণে থাকলেও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। টমেটো হচ্ছে টক জাতীয় সবজি আর টক জাতীয় সবজি আমাদের মুখে রুচি বাড়ায়। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটো রাখা বাঞ্ছনীয়। আমরা টমেটো বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি যেমন রান্না করে সালাত করে টমেটো সস বানিয়ে ইত্যাদি। আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে টমেটোর ও পুষ্টিগুন অনেক।
এখন দেখবো টমেটোর উপকারিতা গুলো কি কি :
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: টমেটোতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ বিশেষ করে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমাদের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে: যারা নিয়মিত হৃদ রোগের সমস্যায় ভুবেন তাদের জন্য টমেটো খাওয়া অনেক জরুরী। কারণ টমেটোতে থাকে লাইকোপেন হৃদ রোগ প্রতিরোধ করেতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছে সময় নিউজ।
ত্বক ভালো রাখে : টমেটো তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকে রক্ষা করে তোকে উজ্জ্বল করে। এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাই যারা ত্বক ভালো রাখতে চান তারা নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।
চোখ ভালো রাখে : টমেটোতে থাকা ভিটামিন এ রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই টমেটো চোখের জন্য অনেক উপকারী। টমেটোতে থাকা ভিটামিন-এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই চোখের সমস্যা দূর করতে আমাদের নিয়মিত টমেটো খেতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে কারণ টমেটোতে থাকা লাইকোপেন প্রোস্টেট ক্যান্সার, বেস্ট ক্যান্সার, কোলোন ক্যান্সার ও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০গ্রাম আপেলে কি কি পরিমাণ ভিটামিন থাকে
আপেলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। আর বিভিন্ন পুষ্টি গুনে ভরপুর এই আপেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন একটি করে আপেল খাই তাকে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আমাদের শরীরের বিভিন্ন চাহিদার জন্য বিভিন্ন ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়।
এখন আমারা দেখবো প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে কোন ভিটামিন কি কি পরিমানে থাকে ।প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে ৮০ % পানি থাকে । পানি ছারা আর যে সব ভিটামিন রয়েছে তার পরিমাণ নিচে দেয়া হলোঃ
ভিটামিনের নাম ভিটামিনের পরিমাণ
খাদ্যশক্তি ৫২ কিলোক্যালরি
শর্করা ১৩.৮১গ্রাম
খাদ্য আঁশ ২.৪ গ্রাম
চিনি ১০.৩৯ গ্রাম
চর্বি ০.১৭ গ্রাম
আমিষ ০.২৬ গ্রাম
ভিটামিন সি ৪.০৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই ০.১৮ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৫ মিলিগ্রম
ক্যালসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম
আয়রন ০১২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ ০.০৩৫ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১০৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
জিংক ০.০৪ মিলিগ্রাম
এবং বাকি ওন্যান্য
প্রতি ১০০গ্রাম টমেটোতে কি কি পরিমান ভিটামিন থাকে
টমেটো খাওয়া অনেক উপকার রয়েছে কারণ তোমার সাথে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এসব ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক উপকারী। টমেটো মুখে রুচি ফেরাতে সাহায্য করে। বিয়ে বাড়ি কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে টমেটো সালাত কিংবা টমেটো টক নাহলে চলেই না। টমেটো দেখতে যেমন আকর্ষণ খেতে তেমন সুস্বাদু। বিভিন্ন ভিটামিনে ভরপুর ও পুষ্টি গুনে ভরপুর এ টমেটোতে কি কি ভিটামিন রয়েছে নিন্মে দেওয়া হলো।
ভিটামিনের নাম ভিটামিনের নাম
খাদ্যশক্তি ৫২ কিলোক্যালরি
শর্করা ১.৬১গ্রাম
চিনি ৪.৭৯ গ্রাম
চর্বি ০.৩৬ গ্রাম
ফাইবার ২.১৮গ্রাম
গ্লুকোজ ২-২৮ গ্রাম
ফ্রুক্টোজ ২-৪৮ গ্রাম
ভিটামিন এ ৪২ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ২০ মিলিগ্রম
ক্যালসিয়াম ১৮-২ মিলিগ্রাম
আয়রন ০-৪৯২মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৪৩.৭ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৪-০৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ৯ -১ মিলিগ্রাম
দস্তা ০.৩০৯ মিলিগ্রাম
এবং বাকি অন্যান্য
কাদের জন্য আপেল ও টমেটো খাওয়া ক্ষতিকর
আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি সেটা বিচার করার আগে। আপনার শরীরের জন্য কোন ফল উপকারী ও কোন টি ক্ষতিকর সেটি আগে জানতে হবে। কারণ সবার শরীরের সব ধরনের ফল বা ভিটামিন প্রয়োজন হয় না।এক্ষেত্রে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত ভিটামিন নিলে এর্লাজি সহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখাইতে পারে। তাই এবার আমরা জানবো আপেলে ও টমেটো কাদের জন্য খাওয়া ক্ষতিকর।
আপেল যাদের জন্য ক্ষতিকর
- আপেল খেলে আনেকের এর্লাজি হতে পারে। এর লক।লক্ষ্যণ হচ্ছে হাতে পায়ে বা শবীরে ফুসকুড়ি হতে পারে।কারোকারো ক্ষেত্রে মুখ হাত ফুলে যেতে পারে। এসব কখন দেখা দিলে আপেল না খাওয়া উচিত। আর খেলেও ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আপেল খাওয়া ক্ষতিকর। আপেলে থাকে আন্টি অক্সিডেন্ট যাকে প্রাকৃতিক সুগার বলা হয়। বিশেষ করে লালা আপেলে ডায়াবেটিস রোগীকে পরিহার করতে হবে।
- অনেকের আপেল খেলে হজমের সমস্যা হয়। না পেরে থাকে উচ্চ পরিমানে ফাইবার। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজম আছে এমন রোগীদের জন্য এটা আপেল না খাওয়াই ভালো।
- আপেল কিছুটা অম্লীয় প্রকৃতির তাই যাদের অ্যাপসিডিটির সমস্যা আছে তাদের জন্য আপেল ক্ষতিকর।
- সর্বোপরি অতিরিক্ত অতিরিক্ত আপেল খাওয়া পরিহার করতে হবে এবং ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী আপেল খেতে হবে।
টমেটো যাদের জন্য ক্ষতিকর
- যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের জন্য টমেটো খাওয়া ঠিক না। কারণ টমেটোতে থাকে পটাশিয়াম এবং অক্সালেট যা কিডনির ক্ষতি করে থাকে।
- যাদের টমেটোতে এর্লাজি আছে তাদের টমেটো না খাওয়ায় ভালো। কারন এতে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে।
- টমেটোতে থাকে প্রাকৃতিক অ্যাসিড। তাই টমেটো খেলে অনেকের অম্বল বা হজমের সমস্যা হতে পারে।
- যাদের জয়েন্টে ব্যাথা আছে তাদের টমেটো না খাওয়ায় ভালো। কারণ অতিরিক্ত টমেটো খেলে জয়েন্টের ব্যাথা বেড়ে যেতে পারে। তাই আমাদের কোন কিছু খাওয়ার আগে এক জন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
সবুজ না লাল কোন আপেলে বেশি ভিটামিন
আপেলে অনেক ভিটামিন রয়েছে তবে বাজারে গিয়ে আমরা দ্বিধা দন্দে পরি লাল আপেল না সবুজা আপেল কোন আপেল ভিটামিন বেশি। কারণ বাজারে দু’ধরনের আপেল দেখতে পাওয়া যায়। তো চলুন জানা যাক লাল না সবুজ কোন আপেলে বেশি ভিটামিন।
লাল আপেলে কার্বোহাইডেট বেশি থাকে এবং ফাইবার কম থাকে অন্য দিকে সবুজ আপেল কার্বোহাইডেট কম ও ফাইবার বেশি থাকে। সবুজা আপেলে ক্যালরি কম থাকে। তার যারা ওজন কমাতে চান তারা সবুজ আপেল খেতে পারেন।এছাড়া সবুজা আপেলে ভিটামিন-এ এর পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে লাল আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। আর আপেল তুলনামূলক মিষ্টি হয়। ভিটামিন এ ছাড়া লাল আপেল বা সবুজ আপেলে তেমন কোন পার্থক্য নাই।
সবুজ আপেলের উপকারিতা
- সবুজ আপেলে লাল আপেলের চেয়ে ভিটামিন এ বেশি থাকে। যা চোখ ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
- সবুজ আপেলে ফাইবারে পরিমাণ বেশি থাকে। এটি হজমে সহায়তা করে।
- সবুজ আপেলে ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য সবুজ আপেল খাওয়া ভালো।
লাল আপেলের উপকারিতা
- লাল আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমাণ বেশি থাকে। আরি আন্টি অক্সিডেন্ট।
- লালা আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি মিষ্টি স্বাদ যুক্ত হয়।
- লালা আপেলে ফাইবার কম থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে।
আরো পড়ুনঃ অবাক করা পেয়ারা পাতার পুষ্টিগুন
আপনি কোন আপেলে টি কিনবেন তা নির্ভর করে আপনি কোন পুষ্টি বা ভিটামিনটি বেশি চাচ্ছেন তার উপর। আপনি যদি ভিটামিন এ এবং ফাইবার পেতে চান তাহলে সবুজ আপেল বেছে নিন। আর যদি মিষ্টি সাত যুক্ত এবং কার্বোহাইডেট পেতে চান তবে লাল আপেল বেছে নিন।
কাঁচা না রান্না করা টমেটো খেলে বেশি উপকার
টমেটো একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল বা সবজি। তাই এটিকে প্রায় আপেলের সাথে তুলনা করা হয়। একটি আপেলে যে পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে তার সমপরিমাণ রয়েছে একটি টমেটোতে। তাই টমেটোকে গরিবের আপেল বলা হয়। বিভিন্ন ভিটামিনের ভরপুর এই টমেটো কাঁচা বা রান্না করে দুভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা হিসেবে টমেটো সালাদ করে খাওয়া যায়। আবার রান্না করে বিভিন্ন তরকারির সাথে মিশে বা টক রান্না করে ও সস হিসেবেও খাওয়া যায়। এখন আমরা দেখব কাঁচা না রান্না করা টমেটো খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
অনেক সবজি আছে যা রান্না করে খেলে এর অনেক ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায় যেমন তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে রান্না করা সবজি খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া অনেক উপকার। তবে টমেটোতে এ নিয়ম খাটে না। কারণ টমেটোর মধ্যে থাকে লাইকোপেন যা রান্না করলে এর পরিমাণ বেড়ে যায়। টমেটোতে লাল রংয়ের যে পিটমেন্ট থাকে সেটি হচ্ছে লাইকোপেন। লাইকোপেন শরীরে হৃদ রোগের ঝুকি কমায় এবং ক্যান্সার ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকগণ গবেষণা করে দেখেছেন যে এক টুকরো কাঁচা টমেটোতে ৫১৫ মাইক্রগ্রাম লাইকোপেন থাকে আর রান্না করলে এর মাত্রা কয়েক গুন বেড়ে যায়।টমেটো কাঁচা বা রান্না করে উভয় ভাবে খাওয়া উপকারি। তবে আপনি যদি লাইকোপেন এর পরিমাণ বেশি পেতে চান তবে রান্না করে খাওয়া ভালো হবে।
শেষ কথা: আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি
প্রতিটি ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। উপরের আলোচনা থেকে আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি। এখানে নির্দিষ্ট করে কোন ফল বেশি ভিটামিন তা বলা কঠিন। তবে আপনাদের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা অনুযায়ী সেই ভিটামিনটি যে ফলে বেশি রয়েছে সে ফলটি খেতে হবে। আপেল এবং টমেটো প্রত্যেকটা ফলই আলাদা আলাদা ভাবে তাদের অবস্থান থেকে সেরা।
আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপেল না টমেটো কোন ফলে ভিটামিন বেশি সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি প্রকৃত হতে পারেন তবে আমাদের সার্থকতা। মাথা আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করবেন।
এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url